
সৈয়দপুর (নীলফামারী), ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: গবাদি পশুর ওপর অ্যান্টিবায়োটিকের অবাধ ব্যবহার মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভবিষ্যতে মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়ায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে, যা মানুষ ও পশুর পাশাপাশি অবস্থানের কারণে মানুষের শরীরেও ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি করে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
উপদেষ্টা আজ সৈয়দপুরের ইকো হেরিটেজ হোটেল এন্ড রিসোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্বোধন ও কর্মশালায় এসব কথা বলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশীয় জাতের মুরগিসহ অন্যান্য সম্পদ রক্ষা এবং অঞ্চলভিত্তিক ক্ষতির কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে দেশীয় হাঁসের ডিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করার আহ্বান জানান।
ফরিদা আখতার বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য ফিড ইন্ডাস্ট্রিতে উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্য তৈরির উপাদানের ক্ষেত্রেও আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। বাইরে থেকে এসব উপাদান আমদানি করা হলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
এছাড়াও, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) স্বাদুপানি উপকেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া মাছের প্রজাতি ফিরিয়ে আনতে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, কম খরচে খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা করা জরুরি। পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মরতদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বৃদ্ধি প্রয়োজন, যার জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। বিএলআরআই দেশীয় সম্পদকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে দেশীয় জাত সংরক্ষণ ও উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে নজর দেবে।