
খুলনার সিকিরহাট, ফুলতলা বাজার ও শিরোমনি শহীদ মিনার এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে তিনটি পৃথক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আয়োজিত এই পথসভাগুলোতে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন,
“আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন কমিশন আমাদের নিবন্ধন ও ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন থেকেই আমাদেরকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ বিগত ৫৪ বছরে বিভিন্ন দলের শাসন দেখেছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত কল্যাণ পায়নি। এখন মানুষ বলছে—সব দলের শাসন দেখা হয়েছে, এখন ইসলামী শাসনের প্রয়োজন।”
সকালে সিকিরহাট খেয়াঘাটে অনুষ্ঠিত প্রথম পথসভায় সভাপতিত্ব করেন ফুলতলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাস্টার মফিজুল ইসলাম। এরপর ফুলতলা বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম মোল্যা। সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় শিরোমনি শহীদ মিনার চত্বরে, যেটির সভাপতিত্ব করেন খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমীর ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো।
সভাগুলোতে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা অফিস সেক্রেটারি মো. আশরাফুল ইসলাম, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. ইউসুফ ফকির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা মো. আল আমিন গোলদারসহ স্থানীয় ও থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অধ্যাপক পরওয়ার আরও বলেন, “আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের রূপরেখা দিয়েছেন। যেখানে থাকবে না লুটপাট ও বৈষম্য। যুবকদের জন্য থাকবে কর্মসংস্থান, চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত থাকবে বেকার ভাতা।”
তিনি ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আর যেন কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”
সাবেক এমপি হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, “২০০১-২০০৬ মেয়াদে আমি ফুলতলা-ডুমুরিয়ায় সন্ত্রাস দমন ও সুষম উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। হারাম কোনো অর্থ রাজনীতিতে প্রবেশ করাইনি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করব না।”
সভা শেষে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।