
গোপালগঞ্জে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ সেখ বলেছেন, দেশের মৌলিক সংস্কার না হলে পূর্বের নিকৃষ্ট অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রশাসন, আইন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার অপরিহার্য, কারণ তা ছাড়া রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও দূর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে না।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের উত্তরে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে তিনি বক্তৃতা করেন।
মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও একটি দলের বিরোধিতা চলছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতির পেছনে প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির তান্ডব চলছে, রিকশা-ভ্যান-অটো চালকদের উপর চাঁদাবাজির জোরদার প্রভাব রয়েছে।
তিনি সতর্ক করেন, কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য ছিল দেশের মধ্যে কোনও জঙ্গি নেই। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে জঙ্গি নাটক চালু হয়েছে। তিনি বলেন, এসব নাটকের পিছনের সবাইকে শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সমাবেশে দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের আমীর চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। তাই কিছু গোষ্ঠী কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করছে, যা তাদের সত্যিকারের পরিচয় বহন করে। তিনি গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেন।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। তিনি বলেন, দেশের ফ্যাসিবাদী শক্তির শিকড় চিরতরে উপড়ে ফেলা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। প্রশাসন ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে বিচারের মুখোমুখি আনা হবে।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মুকাররম থেকে একটি বিশাল মিছিল হয় যা পল্টন, বিজয়নগর পানির ট্রাঙ্কি হয়ে হাউজ বিল্ডিংয়ে এসে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দাবিগুলো উচ্চারণ করেন।