ঈদের সিনেমায় দর্শকের ভিড়

স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি শাখার মূল প্রবেশপথের সামনে দর্শকের দীর্ঘ সারি। কেউ পরিবারের সঙ্গে এসেছেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে, কেউ একা।

ঈদের সিনেমায় দর্শকের ভিড়
ঈদের সিনেমায় দর্শকের ভিড়

শুক্রবার ছুটির দিন বিকেলে দেখা গেল এ চিত্র। পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ছয়টি সিনেমা—‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’, ‘অন্তরাত্মা’, ‘চক্কর ৩০২’ ও ‘জ্বীন-৩’। এর মধ্যে শুক্রবার ‘অন্তরাত্মা’ বাদে বাকি পাঁচটি ছবি প্রদর্শন করছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

মুক্তির পঞ্চম দিনেও এখানে ঈদের সিনেমার প্রায় সব শো–ই হাউসফুল। টিকিট পেতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি করছেন দর্শক। অনলাইন থেকে কাউন্টার, মুহূর্তের মধ্যে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে টিকিট। ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেভাগে টিকিট কেটে রাখছেন।

সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করছে ‘বরবাদ’
সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করছে ‘বরবাদ’

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘দাগি’ ও ‘বরবাদ’-এর জন্য দর্শকের ঢল

বুধবার বিকেলে স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখা গেল ব্যতিক্রমী ও চমকপ্রদ দৃশ্য। বাংলা সিনেমার প্রতি দর্শকের এমন আগ্রহ ইদানীং খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু এদিন ছিল অন্যরকম। ‘দাগি’ সিনেমার টিকিট হাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছেন ব্যাংকার আমিনুল ইসলাম। বসুন্ধরা সিটি শাখার মূল ফটকের সামনে টিকিট হাতে দাঁড়িয়ে আছেন দীর্ঘ সারিতে। সেই সারি পেরিয়ে গেছে ফুডকোর্ট পর্যন্ত, যা সিনেমাপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসেরই এক বড় প্রমাণ।

একই সময় চলছিল বহুল আলোচিত আরেকটি সিনেমা ‘বরবাদ’-এর শো। দর্শকদের ভিড় ক্রমশই বাড়ছিল, এক সারিতে জায়গা না হওয়ায় পাশে আরেকটি লাইন তৈরি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নতুন সারির একদম পেছনে দাঁড়ানো নুজহাত আহমেদ এসেছেন মগবাজার থেকে। তাঁর হাতে ছিল ‘বরবাদ’ সিনেমার টিকিট, যা তিনি কিনেছেন অনলাইন থেকে দুই দিন আগেই।

নুজহাত বলেন, “আমি নিয়মিত সিনেপ্লেক্সে আসি সিনেমা দেখতে। তবে বাংলা সিনেমার জন্য এত মানুষের ভিড় খুব কমই দেখেছি। এটা ভালো লাগার মতো একটা ব্যাপার।”

সিনেমা দু’টির প্রেক্ষাপট, নির্মাণশৈলী ও গল্প—সব মিলিয়ে আগ্রহ বাড়ছে দর্শকের। শুধু ঢাকাই নয়, আশপাশের জেলা থেকেও দর্শক আসছেন বাংলা সিনেমা দেখতে। স্টার সিনেপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা এমন ভিড় সাধারণত ঈদ বা বড় বাজেটের হিন্দি-হলিউডি ছবির সময় দেখি। কিন্তু এবার দুটি দেশীয় সিনেমার জন্য এত দর্শক দেখে আমরাও অভিভূত।”

বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতি এই নবজাগরণ আশা জাগাচ্ছে নির্মাতা ও প্রযোজকদের মাঝেও। বিশেষ করে তরুণ নির্মাতাদের নতুন ধারার কাজ দর্শক যে গ্রহণ করছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে প্রেক্ষাগৃহগুলোতে।

স্টার সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখায় এখন ‘দাগি’ ও ‘বরবাদ’-এর বাড়তি শোয়ের পরিকল্পনা চলছে। দর্শকের আগ্রহ থাকলে এসব সিনেমার প্রদর্শন আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলা সিনেমার এমন পুনর্জাগরণ চলতে থাকুক—এই প্রত্যাশায় মুখর এখন সিনেমাপ্রেমী জনতা।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঈদের সিনেমা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে রয়েছে, সঙ্গে ঈদের ছুটি—দুই মিলে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ঢল নেমেছে।

ঈদের ছুটিতে বাংলা সিনেমার জোয়ার, টিকিটের জন্য দর্শকের হাহাকার

ঈদের ছুটি আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমা নিয়ে আলোচনার জোড়া প্রভাব—এই দুই মিলেই প্রেক্ষাগৃহে নেমেছে দর্শকের ঢল। বিশেষ করে স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি শাখায় দেখা গেছে বিরল চিত্র। শুক্রবার সেখানে বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও শুধু সিনেমা দেখতেই ভিড় করেছেন দর্শকেরা।

টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে অনেকে জানার চেষ্টা করছিলেন, টিকিট পাওয়া যাবে কি না। কিন্তু কাউন্টার থেকে জানানো হয়, “আজকে (শুক্রবার) ঈদের সব সিনেমার টিকিট শেষ।”

শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচটি আলোচিত সিনেমা—‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’, ‘চক্কর ৩০২’ ও ‘জ্বীন-৩’—এর কোনোটিরই শুক্রবারের শোয়ের টিকিট আর পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ‘বরবাদ’ সিনেমার শনিবার ও রোববারের টিকিটও আগেভাগেই বিক্রি হয়ে গেছে।

‘দাগি’ সিনেমার টিকিটও শুক্রবার পর্যন্ত ছিল ‘সোল্ড আউট’। শনিবারের শোয়ের টিকিটও দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, ‘জংলি’ সিনেমাটিকেও ঘিরে দেখা গেছে দর্শকের বাড়তি কৌতূহল।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঈদে পরিবারের সবাই একসঙ্গে সিনেমা দেখার আগ্রহ বাড়ছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা, রিভিউ, ও ট্রেলার শেয়ার হওয়ায় সিনেমাগুলোর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।

বাংলা সিনেমার প্রতি এই নতুন আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নির্মাতারা। তাঁদের মতে, দর্শক যদি প্রেক্ষাগৃহে আসে, তবে গল্পভিত্তিক, মানসম্পন্ন সিনেমা বানাতে প্রযোজকরাও উৎসাহ পাবেন।

সিনেপ্লেক্সগুলোতেও এখন আলোচনা—কীভাবে আরও শো বাড়ানো যায়, কিভাবে দর্শকের চাহিদা সামলানো যায়। ঈদের এই সিনেমা উৎসব যেন হয়ে উঠেছে বাংলা সিনেমার পুনর্জাগরণের আরেক উৎসব।

ঢাকার বাইরেও একই চিত্র, দর্শকের ঢল আর মধ্যরাতের শো—বাংলা সিনেমার ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা

শুধু স্টার সিনেপ্লেক্সই নয়, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস, মধুমিতা— সবখানেই একই চিত্র: দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে পুরান ঢাকার দর্শক সাধারণত লায়নে দাঁড়িয়ে সিনেমা দেখেন, সেখানে এবার ঈদের ছুটিতে যেন এক উৎসবের আমেজ।

লায়ন সিনেমাসে চলেছে ঈদের পাঁচটি সিনেমার মধ্যে চারটি, বাদ ছিল শুধু ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘চক্কর ৩০২’। দর্শকের চাপে প্রথমবারের মতো মধ্যরাতেও শো চালাতে বাধ্য হয় লায়ন কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আবদুল খালেক জানান, ২০২২ সালে যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম তাঁরা রাত ১২টার পরেও শো চালিয়েছেন।

শুধু ঢাকায় নয়, রাজধানীর বাইরেও বাংলা সিনেমার প্রতি এমন আগ্রহ দেখা গেছে। যশোরের ঐতিহ্যবাহী মণিহার সিনেমা হল, বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সসহ একক ও মাল্টিপ্লেক্স— সবখানেই সিনেমা দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শকরা।

বছরের পর বছর ধরে বাংলা সিনেমা দর্শক সংকটে ভুগেছে। অনেক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এবারের ঈদের সিনেমা সেই হতাশার চিত্র বদলে দিচ্ছে।

‘জংলি’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান বলেন, “মানুষ আবারও হলমুখী হয়েছেন, এটি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ঘটনা। আমরা চাই আরও বেশি দর্শক সিনেমা হলে আসুক। সে জন্য মাল্টিপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়ানো সময়ের দাবি।”

এই ঈদের সাফল্য বাংলা সিনেমার নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা— সবাই আশাবাদী, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলা সিনেমা আবারও তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।

সিনেমাপ্রেমী জনতার মুখে এখন একটাই কথা— “ভালো গল্প, ভালো নির্মাণ হলে দর্শক আবার ফিরে আসবেই!”

ঈদে শীর্ষে ‘বরবাদ’, তরুণদের মাতাচ্ছে ‘দাগি’, পরিবারের পছন্দ ‘জংলি’— জমে উঠেছে তিন তারকার লড়াই

ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছয়টি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল পেয়েছে ‘বরবাদ’। সেই সঙ্গে দর্শক সংখ্যায়ও শীর্ষে রয়েছে এই সিনেমাটি। হলমালিক, চলচ্চিত্র বিশ্লেষক ও দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিনেমাটি শুরু থেকেই দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছে।

দর্শক আগ্রহের বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’। ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমাটিও কিছু দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে, যদিও তা মূল তিনটির মতো সাড়া ফেলতে পারেনি।

বিশেষ করে ‘বরবাদ’ ও ‘দাগি’ তরুণ প্রজন্মের দর্শকদের মধ্যে বেশি সাড়া ফেলেছে। অন্যদিকে, ‘জংলি’ সিনেমাটি পরিবার নিয়ে দেখার উপযোগী হওয়ায় প্রেক্ষাগৃহে এসেছে নানা বয়সী দর্শক।

তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, সর্বশেষ ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া পাঁচটি সিনেমার মধ্যে শুধুমাত্র শাকিব খানের ‘তুফান’ই কিছুটা আলোচনায় এসেছিল। বাকি চারটি—‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’, ‘আগন্তুক’, ‘রিভেঞ্জ’ ও ‘ময়ূরাক্ষী’—তেমনভাবে দর্শক টানতে পারেনি।

এবার কিন্তু ভিন্ন চিত্র। শাকিব খানের অনুপস্থিতিতে আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ নিজেদের জায়গা তৈরি করছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলা সিনেমায় তারকাবান্ধব প্রতিযোগিতা ফিরে আসছে, যা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক।

চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, আজ (রোববার) অফিস খোলার পর দেখা যাবে কোন সিনেমাটি আসলেই দীর্ঘমেয়াদি সফলতা পেতে যাচ্ছে। আজকের দর্শক উপস্থিতি ও টিকিট বিক্রির হারেই নির্ধারিত হবে, কে টিকে থাকবেন ঈদ পরবর্তী বক্স অফিস দৌড়ে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “দর্শক এখন গল্প, নির্মাণ ও অভিনয় বিবেচনায় সিনেমা বেছে নিচ্ছেন। তারকাখ্যাতির পাশাপাশি কনটেন্ট-নির্ভর সিনেমাই টিকবে।”

এই উৎসবমুখর পরিবেশে স্পষ্ট একটিই বার্তা— বাংলা সিনেমার ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এখনই।

‘বরবাদ’ ছাড়িয়ে গেল ‘তুফান’কে, দর্শকের চাহিদায় এগিয়ে ‘দাগি’ ও ‘জংলি’

ঈদ উপলক্ষে মুক্তিপ্রাপ্ত ছয়টি সিনেমার মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে ‘বরবাদ’। প্রথম চার দিনের টিকিট বিক্রির হিসাবে শাকিব খানের ‘তুফান’-কেও ছাড়িয়ে গেছে সিনেমাটি—এমনটাই দাবি করেছেন লায়ন সিনেমাসের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আবদুল খালেক ও মধুমিতা সিনেমা হলের স্বত্বাধিকারী ইফতেখার নওশাদ

মির্জা আবদুল খালেক শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন,

“তুফান হলে অনেক দিন ধরে চলেছে। বরবাদ কত দিন চলবে, সেটা নির্ভর করছে দর্শকের আগ্রহের ওপর। তবে ওপেনিংয়ের দিক দিয়ে তুফানকে ছাড়িয়ে গেছে বরবাদ।”

দর্শক আগ্রহের বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘দাগি’
দর্শক আগ্রহের বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘দাগি’

তাঁর ভাষ্যমতে, লায়নে চলমান ‘দাগি’ সিনেমাটিও ‘তুফান’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইফতেখার নওশাদ জানিয়েছেন, মধুমিতা সিনেমা হল ‘বরবাদ’-এর পর ‘দাগি’ ও ‘জংলি’ চালাতে চায়—এ থেকেই বোঝা যায়, কোন ছবিগুলো দর্শক টানছে বেশি।

চলতি সপ্তাহে হলসংখ্যার দিক থেকেও এগিয়ে ‘বরবাদ’।

  • ‘বরবাদ’ চলছে ১২৩টি হলে,
  • ‘দাগি’ চলছে ১৪টি হলে,
  • ‘জংলি’ চলছে ১১টি হলে।

এ ছাড়া ‘চক্কর ৩০২’ ও ‘জ্বীন-৩’ সিনেমাগুলো স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাসসহ বেশ কয়েকটি মাল্টিপ্লেক্সে প্রদর্শিত হচ্ছে।

অন্যদিকে শাকিব খানের ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমাটিও ঈদে মুক্তি পেলেও, দর্শকসাড়া কম হওয়ায় স্টার সিনেপ্লেক্স ও লায়ন সিনেমাস ইতোমধ্যে এটি প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে

চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বছর ঈদের সিনেমার প্রতিযোগিতা জমজমাট। বড় তারকাদের বাইরে এসে নতুন জুটি ও গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাগুলো দর্শকের মন জয় করছে, যা বাংলা সিনেমার জন্য এক নতুন আশার আলো।

সব মিলিয়ে এবার ঈদে বাংলা সিনেমার বাজার যেন নতুন রূপে ফিরছে, আর সেই জোয়ারে সবচেয়ে উঁচু ঢেউ তুলছে ‘বরবাদ’।

‘দাগি’ সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের দাবি, প্রথম চার দিনে মাল্টিপ্লেক্স থেকে এক কোটি টাকার বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসাপাতি

দেশে বক্স অফিস কার্যকর না থাকায় মাল্টিপ্লেক্স বাদে একক প্রেক্ষাগৃহের টিকিট বিক্রির নির্ভরযোগ্য হিসাব মেলে না। ফলে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত কোন সিনেমা কত ব্যবসা করেছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের অনুমান, সর্বোচ্চ হল পাওয়া ‘বরবাদ’–ই সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করছে। এরপরই রয়েছে আফরান নিশোর ‘দাগি’।

জংলি’ নিয়েও দর্শকের আলাদা আগ্রহ দেখা গেছে
জংলি’ নিয়েও দর্শকের আলাদা আগ্রহ দেখা গেছে

‘বরবাদ’ পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান। প্রযোজনা করেছেন শাহরিন আক্তার। ছবিটির প্রযোজকের কাছে টিকিট বিক্রির হিসাব জানতে চাইলে তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ‘দাগি’ পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। সিনেমাটির প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের দাবি, প্রথম চার দিনে মাল্টিপ্লেক্স থেকে এক কোটি টাকার বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।

‘জংলি’, ‘জ্বীন–৩’ সিনেমার ব্যবসার খবর জানতে প্রযোজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরাও হিসাব জানাতে পারেননি। ‘জংলি’ পরিচালনা করেছেন এম রাহিম ও ‘জ্বীন–৩’ পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রুমান। শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত ‘চক্কর ৩০২’–এ মোশাররফ করিম অভিনয় করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *