
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ে সরকারি অর্থ লোপাট’ এবং ‘সার আমদানিতে নজিরবিহীন দুর্নীতি’ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় এসব প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষি মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় চুক্তির (জি-টু-জি) পাশাপাশি বেসরকারি আমদানিকারকদের মাধ্যমেও নন-ইউরিয়া সার আমদানি করে। অতীতে প্রতি ধাপের টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন আমদানিকারককে ভিন্ন ভিন্ন দরে (টন প্রতি ২০ থেকে ১৫০ ডলার বা তারও বেশি ব্যবধানে) সার সরবরাহের সুযোগ দেওয়া হতো, যা সরকারের জন্য বিপুল ক্ষতির কারণ ছিল।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়। এখন থেকে একটি নির্দিষ্ট সারের জন্য একটি নির্দিষ্ট দেশ থেকে সব আমদানিকারককে কেবল সর্বনিম্ন দরে সার সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে। গত অর্থবছর থেকেই এই পদ্ধতি কার্যকর হওয়ায় সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে এবং আমদানিকারকদের অসম লাভের পথ সংকুচিত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সার আমদানি প্রক্রিয়ায় টন প্রতি সারের মূল্য (এফওবি) এবং জাহাজ ভাড়াসহ মূল্য (সিএফআর) বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত দুটি সার বিষয়ক বুলেটিন ‘আরগুস’ ও ‘ফার্টিকন’-এর মূল্য তালিকা অনুসরণ করে নির্ধারিত হয়। যেহেতু অবস্থান ও দূরত্বের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে সার আনার জাহাজ ভাড়া ভিন্ন হয়, তাই একই সারের দাম দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে। এটি নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই বলে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে।
মন্ত্রণালয় মনে করছে, কিছু সার আমদানিকারক সিন্ডিকেট সরকারের এই স্বচ্ছ ও দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে অধিক মূল্যে সার সরবরাহের সুযোগ না পেয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। এসব চক্রের মনগড়া তথ্য যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা দুঃখজনক।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বর্তমান সরকার দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে কাজ করছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সত্যতা যাচাই করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।