ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণ ও ভান লাল রোয়াল বমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাবিতে উত্তাল বিক্ষোভ

ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণ ও ভান লাল রোয়াল বমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাবিতে উত্তাল বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এক কিশোরীকে ছয়জন সেটেলার বাঙালির দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ এবং সেই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জ ও গ্রেফতার – পাশাপাশি কেএনএফ সন্দেহে আটক অবস্থায় কারাগারে ভান লাল রোয়াল বমের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পিসিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমা।

বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সদস্য ফাল্গুনী ত্রিপুরা, আদিবাসী পরিষদের প্রচার সম্পাদক বিভূতিভূষণ মাহাতো, মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অংশৈসিং মারমা, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অর্থ সম্পাদক জানকি চিসিম এবং ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক উসাইন মারমা।

দীপায়ন খীসা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটেলারদের পক্ষ নিয়েই কাজ করছে।

ফাল্গুনী ত্রিপুরা বলেন, রাষ্ট্র এই ধর্ষণের ঘটনায় নীরব, বরং প্রতিবাদীদের দমন করছে। তিনি রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃত্যুর দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে দ্রুত বিচার এবং নিরীহ বম জনগোষ্ঠীর মুক্তির দাবি জানান।

অংশৈসিং মারমা সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, সেটেলারদের রক্ষা করতেই কি সেনাবাহিনী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমন করছে?

অন্যান্য বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ধর্ষণ, ভূমি দখল ও দমননীতি বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, যদি সরকার এই সংকটের সমাধান না করে, পাহাড়ি তরুণরাই নিজেদের পথ খুঁজে নেবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ ঘুরে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *