
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা শেষে এবি পার্টি স্পষ্ট করেছে যে তারা কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত, যে দলীয় প্রধান ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। একইসঙ্গে তারা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নিয়োগের বিরোধিতা করেছে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অংশগ্রহণ অতীতে বিচার বিভাগকে কলুষিত করেছে। সেই ব্যর্থ অভিজ্ঞতার কারণেই গত ১৬ বছর জাতিকে মূল্য দিতে হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এবি পার্টি ছাড়াও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বিচার বিভাগের অংশগ্রহণ ছাড়াই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ্ধতির পক্ষে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আরও আলোচনা হয়, একজন ব্যক্তি দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী—দুই পদে থাকবেন কি না। কমিশনের মতে, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল চায় না যে একজনই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকুক। তবে কিছু দল ভিন্নমত প্রকাশ করে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়ার সুযোগ রাখার পক্ষেও মত দেওয়া হয়েছে।
এবি পার্টির পক্ষ থেকে বৈঠকে আরও অংশ নেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, সহকারী দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ফিরোজ কবির, গাজী সাবের হোসেন ও যুব পার্টির রাশেদুল ইসলাম।
ব্যারিস্টার সানী বলেন, যদি প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে ঐকমত্যে পৌঁছানো না যায়, তাহলে বিচার বিভাগের নাম প্রস্তাব করা উচিত নয়। বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নাম উত্থাপন করায় তারা বিস্মিত।
তিনি বলেন, “পুরনো বন্দোবস্তে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা রক্ষা করতেই তাকে এ প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে হবে। এটি ‘জুলাই স্পিরিট’-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”