
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রদান করা হয়েছে এবং এর মধ্যে কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিরোধীদলীয় প্রতিনিধির সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিগুলো নির্বাহী ক্ষমতার ওপর চেক ও ব্যালেন্সের কাজ করবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরে সীমিত করার বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে।”
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও জানান, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীর একই সঙ্গে দলীয় প্রধান না হওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ রোধে সহায়ক হবে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সাংসদদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে বিশেষ প্রস্তাব রয়েছে এবং এ বিষয়ে আদালতের রায়ও বিদ্যমান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যগণ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ৬২টি বিষয়ে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি বিষয়ের মধ্যে ১১টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ৯টি বিষয়ে কিছু নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “নোট অব ডিসেন্ট থাকা বিষয়ে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”