
সাতক্ষীরার এক তরুণ শুভজিৎ মণ্ডল ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে ফেসবুকে নোয়াখালীর এক মাদরাসাছাত্রীর (দশম শ্রেণি) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে এসে ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে যৌনপল্লীর এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুভজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, ওই মাদরাসাছাত্রীর সঙ্গে শুভজিৎ মণ্ডলের পরিচয় হয় ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে। শুভজিৎ তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে টেলিগ্রামে কথা বলে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৭ মে শুভজিৎ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে তার বাড়ি থেকে বের করে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন তারা। সেখানে শুভজিৎ মেয়েটির গয়না ও টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয় এবং তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে যৌনপল্লীর এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়।
ভুক্তভোগী মেয়েটি সেখানে থাকা আরেক মেয়ের নম্বর থেকে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরিবারের সদস্যরা গত ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি, অপহরণ ও পাচারকারী গ্যাং সাব্বিরকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।