
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি দাবি করেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে শপথ নিতে দিচ্ছে না এবং নগর ভবনে অবৈধভাবে প্রশাসক বসিয়ে রেখেছে।
সোমবার নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক বলেন, “এই শপথ গ্রহণ না করানোর সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি রাজনৈতিক। সরকার শুরু থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল যাতে বিএনপির প্রার্থী মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা চলছে। তাঁর মতে, প্রশাসক বসিয়ে সরকার দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করেছে এবং গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করেছে।
ইশরাক জানান, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ বা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট মেয়র হিসেবে তাঁর গেজেট বহাল রাখার পরও প্রশাসকের অবস্থান অবৈধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি, আদালতের নির্দেশনা আমার অবস্থানকে বৈধতা দিয়েছে। অথচ সরকার তাদের পছন্দের লোক দিয়ে নগর ভবন পরিচালনা করছে, যা পুরোপুরি অযৌক্তিক ও বেআইনি।”
এদিন দুপুরে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে এক বৈঠক করেন ইশরাক হোসেন। বৈঠকে মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকের ব্যানারে তাঁর নামের পাশে ‘মেয়র’ পদবি ব্যবহার করা হয়।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইশরাক বলেন, “আমি নিজে এই ব্যানার করিনি। জনগণ এবং আয়োজকেরাই আমাকে মেয়র হিসেবে গণ্য করেন। এটি আমার দাবি নয়, এটি জনগণের দাবির প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের গেজেটে তাঁকে মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং সর্বোচ্চ আদালতও তাঁর বৈধতা নিশ্চিত করেছে।