জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে তাঁরা আজ শুক্রবার রাতেই আন্দোলন স্থগিত করেন। ফলে আগামীকাল শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকরাইল মোড়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর কিছুক্ষণ আগেই, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ জানান যে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবিগুলো সরকার গ্রহণ করেছে।
এর আগে, শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে কাকরাইল মোড়ে শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা দলে ভাগ হয়ে আন্দোলনে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের প্রধান তিনটি দাবি ছিল:
- আবাসন সুবিধা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তির ব্যবস্থা।
- প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন।
- দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন।
বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেলে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ হয়, যা আন্দোলনকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। শিক্ষার্থীরা এরপর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন এবং পুলিশের হামলার বিচারসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি জানান।
পরে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাঁকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছোঁড়া হয়, ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার শিক্ষকরাও আন্দোলনে যুক্ত হন এবং বিকেলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেন।