
টেকসই পরিবেশ ও বিনিয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে এটি হতে হবে একটি সমন্বিত বৈশ্বিক প্রয়াস—এমন মত দিয়েছেন সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র জাতীয় উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, টেকসই লেনদেন ও বিনিয়োগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একমত হওয়া দরকার। সব দেশের জন্যই একটি ন্যায্য কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন যাতে কেউ অবিচারমূলক সুবিধা না পায়।
এই বক্তব্য তিনি রাখেন ঢাকায় বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত “ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট” শীর্ষক এক সংলাপে।
টেক্সটাইল ও জ্বালানি খাতের উদাহরণ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শিল্পক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং পানির সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, যাতে শিল্পগুলো ব্যবহারে আরও দায়িত্বশীল হয়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাজারে কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক এখনো টেক্সটাইল পণ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এ বিষয়ে বাধ্যতামূলক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দরকার।
জ্বালানি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% জ্বালানি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসবে। সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে এটি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দায় না থাকা সত্ত্বেও আমরা ক্ষতির শিকার হচ্ছি। তাই আন্তর্জাতিকভাবে দায়িত্বশীল আচরণ ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের ব্যয় শুধু উৎপাদক নয়, ক্রেতাদের মধ্যেও সমভাবে ভাগ হওয়া উচিত, যাতে শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা বজায় থাকে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, সাবেক সভাপতি ফরেস্ট ই কুকসন, সহ-সভাপতি ও শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার। এছাড়াও শেভরন, ফিলিপ মরিস ও রিকাভারের প্রতিনিধি দল তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ উপস্থাপন করেন।