
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি সংস্কার মানে না—এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি জানান, ২০২২ সালেই বিএনপি ২৭ ও পরে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে, যার মধ্যে দ্বিকক্ষ সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র ও ঐক্যের প্রশ্নে বিএনপি কখনো আপোস করেনি, করবে না।” তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কে আছো, জোয়ান হও আগুয়ান—এই চেতনায় বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, “তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন বিদেশে থেকেও দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব।”
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া যাবে না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে।”
জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতসহ সবার অবদান রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সালাহউদ্দিন আহমদ, মোস্তফা জামাল হায়দার ও আন্দালিব রহমান পার্থ। বক্তারা সবাই নতুন একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে ঐক্য ও সংহতির ওপর জোর দেন।