
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ কয়েকটি দলকে আসন্ন জাতীয় সমাবেশে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে ২৪ বছরের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি ও দলত্যাগী জামায়াত নেতাদের গঠিত এবি পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, তারা কেবলমাত্র পিআর (আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি) পদ্ধতির পক্ষে থাকা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জামায়াতের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, যেহেতু বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করে, তাই তাদের না ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বিএনপি ও জামায়াত উভয়ের জন্যই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানো গেছে।
অন্যদিকে, এবি পার্টিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ২০১৯ সালে জামায়াত থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু পরবর্তীতে এবি পার্টি গঠন করেন। তিনি জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রায়শই কথা বলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঞ্জুর সমালোচনার কারণে অনেক কর্মী ক্ষুব্ধ এবং সমাবেশে তার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলেই এবি পার্টিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সাল থেকে বিএনপি ও জামায়াত দীর্ঘ দুই যুগ একসঙ্গে জোটবদ্ধভাবে কাজ করেছে এবং ক্ষমতা পরিচালনা করেছে। ২০২২ সালে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তাদের জোট ভেঙে যায়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে জামায়াত বিএনপির আন্দোলন থেকেও আলাদা হয়ে যায়। যদিও দুই দলের নেতারা এখনো কিছু কর্মসূচিতে একে অপরের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।