
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামীকাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এই আয়োজন ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বিভাজন এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েন। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, বাংলাদেশ কেবল আয়োজক হিসেবে ভেন্যু ও আতিথেয়তার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু ভারতের নেতৃত্বাধীন একটি শক্তিধর অংশ মনে করছে, বিসিবি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করছে।
ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান এ সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এজিএমে কোরাম পূরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভা সম্পন্ন করতে পাঁচটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে অন্তত তিনটি এবং ১০টি সহযোগী দেশের উপস্থিতি প্রয়োজন। পিসিবি ও বিসিবি মিলে আফগানিস্তানকে সভায় যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে, যদিও নিশ্চিত অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত নয়।
বিসিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণে সম্মতি দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। পিসিবির সিওও সালমান নাসিম ঢাকায় এসেছেন, পিসিবি চেয়ারম্যান আশরাফ নাকভিও আজ ঢাকায় পৌঁছাবেন।
অন্যদিকে, ভারত ও শ্রীলঙ্কার অনুপস্থিতি এই সভার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিসিবির কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে, এই আয়োজনের মাধ্যমে তারা ভারতের রোষানলে পড়তে পারেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি বুলবুলের পাকিস্তানের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ভবিষ্যতে এই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রভাব বিসিবির উপর পড়বে কিনা, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তিত। যদিও এসিসি সভাপতি হিসেবে পাকিস্তানের চেয়ারম্যানের আহ্বানে সম্মান দেখিয়ে সভার আয়োজন করছে বিসিবি, তবুও এর দায়ভার থেকে মুক্তি মিলবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।