ভারতের সঙ্গে ৪টি স্থলবন্দর বন্ধ করার সুপারিশ

ভারতের সঙ্গে ৪টি স্থলবন্দর বন্ধ করার সুপারিশ
ফাইল ছবি

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত একটি কমিটি ভারতের সঙ্গে চারটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করার সুপারিশ করেছে। বন্ধের তালিকায় রয়েছে নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙামাটির তেগামুখ এবং হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দর। এর মধ্যে চিলাহাটি, দৌলতগঞ্জ এবং তেগামুখে কোনো অবকাঠামো না থাকায় এসব বন্দর বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরটির অবকাঠামো নির্মিত হলেও ভারতের অংশে অবকাঠামো এবং সড়ক না থাকায় এটি পরিচালনা কার্যক্রম স্থগিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি আরও চারটি স্থলবন্দর শর্তসাপেক্ষে চালু রাখার সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুটি স্থানের পরিবর্তে একটি স্থানে কার্যক্রম চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আয়-ব্যয় বিবেচনা করে কার্যক্রম আরও গতিশীল করার কথা বলা হয়েছে। জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হওয়ায়, ন্যূনতম জনবল দিয়ে এটি চালু রাখা সম্ভব হতে পারে। দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরে বিদ্যমান ব্যবস্থায় রেলপথে আমদানি-রপ্তানি চালু রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে দেশের সীমান্তে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, যার মধ্যে ২৩টি ভারত এবং একটি মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত। ১৬টি স্থলবন্দর সচল, আর বাকি ৮টি এখনও সচল হয়নি। গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়েছিল।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দরগুলো তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটিতে অর্থ বিভাগ, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সম্প্রতি, এই কমিটি নৌপরিবহণ উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *