
চীনের ইউন্নান প্রদেশ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রার্থীদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতাল পরিদর্শন করে এবং প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও হাসপাতাল প্রধানদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
ইউন্নান প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের উপ-পরিচালক ওয়াং জিয়ানকুন জানান, “আমরা আমাদের হাসপাতালে আসা বাংলাদেশি রোগীদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। ঢাকায় আমাদের দূতাবাস নিয়মিত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে।”
চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে চীন সরকার ২৩ সদস্যের একটি বাংলাদেশি মিডিয়া প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রতিনিধিদল একটি দুই ঘন্টার ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের সভাপতি ও অন্যান্য শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে। ভাষা বাধা, পরিচারক থাকার ব্যবস্থা, ভ্রমণ খরচ, চিকিৎসার পর ফলো-আপ, এবং বিলিং প্রক্রিয়া সহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।
উপ-পরিচালক ওয়াং জিয়ানকুন বলেন, “বাংলাদেশি রোগীরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয় আমরা তা বুঝতে পেরেছি এবং সমাধানে কাজ করছি।”
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান আজাদ মজুমদার চীনা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তারা ভাষাগত সমস্যা দূর করে আরও বেশি বাংলাদেশি রোগী চীনে চিকিৎসা নিতে পারে।
গত ছয় মাসে ৬৭ জন বাংলাদেশি রোগী কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে লিভার সিরোসিস ও ব্রেস্ট ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সম্মানে একটি ভোজসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য চীন থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের মিডিয়া প্রতিনিধিরা আগামীকাল আরও কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।