
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের প্রতিটি বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় প্রস্তুত নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একটি কাঠামো গড়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে সব বিষয়েই আলোচনা সম্ভব।
ভারতের সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। আলোচনায় অংশ নেবেন সাবেক কূটনীতিক, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং একাধিক সাবেক হাইকমিশনার, যারা বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মতামত দেবেন।
১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তি নবায়ন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, জয়সোয়াল বলেন, অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে বাংলাদেশের সঙ্গে পানি বণ্টনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পারস্পরিক স্বার্থে আলোচনায় প্রস্তুত ভারত।
এদিকে, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সাম্প্রতিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশের যেকোনো ভূরাজনৈতিক পদক্ষেপ, যা ভারতের নিরাপত্তা ও স্বার্থকে প্রভাবিত করতে পারে, তা ভারত সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, যদিও ভারতের প্রতিটি দেশের সঙ্গে স্বাধীন সম্পর্ক রয়েছে, তারপরও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক আলোচনায় উঠে এসেছে—বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা সম্পর্কে ভারতের ভাবনা। বিশেষ করে শেখ হাসিনার ক্ষমতা শেষ হলে বাংলাদেশ-চীন ঘনিষ্ঠতা কতটা বাড়তে পারে, সেটি নিয়েও বিশ্লেষণ থাকবে।
এছাড়া, ভারতের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের ভাবনা, এবং ভারত যে শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়েছে—এমন ধারণা কিভাবে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে, সেসব বিষয়ও বিশ্লেষণে আসবে।
বিশেষজ্ঞরা সংসদীয় কমিটিকে এমন পরামর্শও দিতে পারেন যে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় জরুরি