৫২০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে প্রতিরক্ষা আধুনিকায়নের নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডি ছুঁতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দৃঢ় স্থিতিশীলতার প্রতিফলন করছে। এই আর্থিক সক্ষমতা দেশের প্রতিরক্ষা খাতে আধুনিকায়নের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির আকার বৃদ্ধির ফলে প্রতিরক্ষা বাজেটেও উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে। জিডিপির প্রায় ১.৩ শতাংশ বরাদ্দ থাকলে বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় ৬.৭৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই বাজেট ‘ফোর্স গোল ২০৩০’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যার মাধ্যমে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জামে সুসজ্জিত করা হচ্ছে।

মূল বিষয়সমূহ:

  • অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা: উৎপাদন, রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে বাংলাদেশ এখনো অর্থনৈতিকভাবে মজবুত ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে।
  • প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি: উন্নত প্রযুক্তি, আধুনিক সরঞ্জাম ও সমর সরঞ্জাম কেনার সুযোগ বাড়ছে।
  • কৌশলগত বিনিয়োগ: আধুনিক মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, শক্তিশালী নৌ-ক্ষমতা এবং উন্নত নজরদারি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (C4ISR) সংযুক্তিকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে।
  • আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রতিবেশী বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগোচ্ছে, তবে কম্প্যাক্ট ভূগোলের কারণে সেনাবাহিনী মোতায়েনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রভাবও বাড়ছে। আধুনিকায়নের এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *