বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (BIDA) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি সফর করেছে তুরস্কের স্বনামধন্য প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান মাকিনে ভে কিমিয়া ইন্ডাস্ট্রিজি (MKE)।
এই সফরের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং যৌথ উৎপাদন ব্যবস্থার সম্ভাবনা অন্বেষণ করা। সফরে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সামনে MKE তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, হালকা অস্ত্র এবং বিস্ফোরক প্রযুক্তি উপস্থাপন করে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বিশেষভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে:
- ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল ও চার্জের স্থানীয় উৎপাদন।
- MPT-৭৬ রাইফেল ও PMT মেশিনগানের অনুমোদিত অ্যাসেম্বলি লাইন স্থাপন।
- নৌবাহিনী ও সীমান্ত নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্মে MKE-এর রিমোট ওয়েপন স্টেশন সংযোজন।
- বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অ্যাক্ট, ২০১০-এর আওতায় প্রতিরক্ষা শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ।
এই উদ্যোগকে বলা হচ্ছে #ForcesGoal2041 বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এর মাধ্যমে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
BIDA চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “আমরা শুধু প্রযুক্তি আমদানি নয়, নিজস্ব উৎপাদনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে চাই।”
উল্লেখ্য, তুরস্ক ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে, এবং বাংলাদেশ সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে চায়।
এই সফর কেবল দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককেই নয়, বরং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রেও এক নতুন যুগের সূচনা করলো।