বাংলাদেশের উদ্বেগ: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় গভীর শঙ্কা, বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ শুরু

বাংলাদেশের উদ্বেগ: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় গভীর শঙ্কা, বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ শুরু

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের হামলা মধ্যপ্রাচ্যের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে স্থিতিশীলতাকে আরও বিপন্ন করে তুলছে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

বাংলাদেশ সরকার তার দীর্ঘদিনের নীতির প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, “কোনো সংঘাতের সমাধান হতে হবে শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে।” একইসঙ্গে, সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ এবং এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অনুরোধ করেছে যা আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণের মাধ্যমেই কেবল টেকসই শান্তি অর্জন সম্ভব।

বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ

ইরানে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সেখানকার বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। ইরানের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সহায়তায় এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রথম ধাপে প্রত্যাবাসনে আগ্রহী বাংলাদেশিদের একটি দলকে আগামী সপ্তাহেই দেশে ফিরিয়ে আনার আশা করা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে আরও বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথেও সমন্বয় করা হচ্ছে।

নিবন্ধন ও যোগাযোগের অনুরোধ

ইরানে অবস্থানরত যারা দেশে ফিরতে চান, তাদেরকে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে নাম, ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

যোগাযোগের জন্য হটলাইন নম্বর:

  • বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান (হটলাইন): +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা (হটলাইন): +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭

বাংলাদেশ সরকার মনে করে, এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *