
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে গালিগালাজ করার ও গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়ার ঘটনায় রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ওই ওসিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি করেছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক কালবেলার রংপুর প্রতিনিধি রেজওয়ান কবির রনি এবং দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান কিশোরগঞ্জ থানায় যান। সেখানে ওসি আশরাফুল তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, গালিগালাজ করেন এবং গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে, তখন সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। ওসি কর্তৃক এ ধরনের আচরণ বর্ণনা করতে পারে না এবং এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি চ্যালেঞ্জ।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি আশরাফুল ইসলামের এমন আচরণ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে সচেষ্ট চক্রের সহযোগিতার অংশ হিসেবে দেখা যায়।
সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা দাবি করেছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওসি আশরাফুলকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তারা ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।