জুলাই কোটা অবমাননাকর, বাতিলের দাবি এবি পার্টির

জুলাই কোটা অবমাননাকর, বাতিলের দাবি এবি পার্টির

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের তৃতীয় বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শেষে “আমার বাংলাদেশ পার্টি” (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ জানান, আদালতের রায়ে এই পদ্ধতি পুনরায় স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, কমিশন একটি সুসংগঠিত প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে সংসদে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কমিটির সদস্য নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রধান দল, বিরোধী দল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সদস্য মনোনয়নের প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে প্রথম ধাপে একমত না হওয়া গেলে ‘র‍্যাংক চয়েস ভোট’ প্রক্রিয়ায় সদস্য নির্বাচন হতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়ায় সংসদের সব প্রতিনিধিত্বশীল দলের মত নেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু ভিন্নমত রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবি পার্টি সম্মত। পাশাপাশি আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব আলোচনায় এসেছে, যেখানে সংসদের বাইরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, অবশিষ্ট ১৫ জন উপদেষ্টার নিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ অধিকার দেওয়া নিয়ে প্রস্তাব থাকলেও এবি পার্টি মনে করে, এতে প্রধান উপদেষ্টা যেন উপদেষ্টা মনোনয়নে একটি সুপারিশ কমিটির মতামত গ্রহণ করেন, তবে এতে বাধ্যবাধকতা না থাকাই শ্রেয়। এ প্রস্তাবটি পেশ করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত বৈঠক শেষে মিডিয়াকে এ বিষয়গুলো জানান এবি পার্টির নেতারা। উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), সাঈদ নোমান (সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী), গাজী নাসির (সাংগঠনিক সম্পাদক, বরিশাল), সেলিম খান (ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব), ও আনোয়ার ফারুক (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম আহ্বায়ক)।

এ সময় ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের পর যে ‘জুলাই কোটার’ ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল, সেটিকে শিক্ষার্থীরা অবমাননাকর মনে করছে। তিনি মন্তব্য করেন, একটি মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লড়াইয়ে আবার কোটা চালু করাকে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক বলেই মনে করে এবি পার্টি। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনা হওয়া উচিত।

এছাড়া, পুলিশ ও প্রশাসনের সংস্কার বিষয়েও দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় এবি পার্টি চায়, এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু দ্রুত আলোচনায় আসুক এবং কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *