চকলেটপ্রিয়দের জন্য নতুন খরচের ধাক্কা

চকলেটপ্রিয়দের জন্য নতুন খরচের ধাক্কা

চকলেটপ্রেমীদের জন্য আবারও খরচ বাড়তে পারে। কোকোয়ার দাম বাড়ার ধাক্কা এখন খুচরা বাজারে প্রতিফলিত হতে শুরু করেছে। তবে ২০২৬ সালের ইস্টারের সময় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।

গত কয়েক বছরে কোকোয়ার মূল্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। মূল কারণ হিসেবে প্রতিকূল আবহাওয়া, পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব ও সরবরাহের সংকটকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ কোকোয়া উৎপাদিত হয় পশ্চিম আফ্রিকায়, সেখানকার পরিস্থিতিই দামের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

বিশ্বজুড়ে খুচরা বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে, ফলে ভোক্তাদের খরচও বেড়েছে এবং মিষ্টিজাত খাবারের চাহিদা কমেছে। যুক্তরাজ্যের ভোক্তা সংস্থা হুইচের ২০২৪ সালের জরিপে দেখা গেছে, চকলেটপণ্যের দাম গড়ে ১১ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় চকলেট হার্শিস কিসেসের দামও এক বছরে প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সুইস চকলেট কোম্পানি লিন্ডট অ্যান্ড এসপিআর এনজিলের প্রধান আদালবের্ট লেকনার মনে করেন, কোকোয়ার দাম আর আগের অবস্থায় ফেরার সম্ভাবনা নেই। তবে ২০২৫ সালে ফিউচার মার্কেটে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারিতে প্রতি টন কোকোয়ার দাম ছিল ৮,১৭৭ ডলার, আগস্টে তা নেমে ৭,৮৫৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তিন বছর আগে এই দাম ছিল মাত্র ২,৩৭৪ ডলার।

জেপি মর্গানের কৃষিপণ্য বিশেষজ্ঞ ট্রেসি অ্যালেন বলেন, “২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে দাম যে রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল, তার প্রভাব এখনো সামলাতে হচ্ছে।” এই উচ্চ দামের প্রভাব পুরো শিল্পকে প্রভাবিত করছে, ব্যবসার বাড়তি খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো হচ্ছে।

চকোসুইসের মুখপাত্র লিডিয়া টোথ জানান, গত দুই বছরে কোকোয়ার দাম চারগুণ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা দামের পরিবর্তন ধীরে হওয়ায় নির্মাতাদের লাভের হার কমেছে। তবে ইস্টারের সময় কিছুটা স্বস্তি আসার সম্ভাবনা আছে। সরবরাহ বাড়ছে এবং নতুন ফলন বাজারে আসছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের বিশ্লেষক হামাদ হুসেইন মনে করেন, পশ্চিম আফ্রিকার সরবরাহ সংকট পুরোপুরি কাটবে না। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ফলে ব্যবসার খরচ বেড়েছে, যা চকলেটের দামে প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কও ভবিষ্যতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *