
ভারত স্থলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পাটের বস্তা ও ব্যাগ, ব্লিসড ও আনব্লিসড বোনা কাপড়, পাটের সুতা ও কর্ডেজ দড়ি। শুধুমাত্র মুম্বাইয়ের নভোসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই পণ্য আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সোমবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় এবং গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
গত ছয় মাসে ভারত বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে মোট চার দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতাজাতীয় পণ্য, ফল ও কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ। ভারত গত ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধাও প্রত্যাহার করেছে।
বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, ভারতের এই অশুল্ক বাধা সত্ত্বেও দেশের অভ্যন্তরে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং মূল্য সংযোজিত পাটপণ্য রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য উপকারী হবে।
পাটপণ্য রপ্তানিকারক সংগঠনের সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, স্থলপথের মাধ্যমে কলকাতায় সরাসরি পণ্য পৌঁছানো ছিল দুই দেশের জন্য লাভজনক। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে আমদানি ব্যয় ও সময় দুটোই বেড়ে গেছে। এর কারণে ভারতকে প্রধান রপ্তানি বাজার হিসেবে ধরে রাখা আর সম্ভব হবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপ ও আমেরিকার বাজার লক্ষ্য করে পণ্যের বৈচিত্র্য ও মান উন্নয়নে কাজ করলে দীর্ঘমেয়াদে পাট শিল্পের জন্য সুফল আসতে পারে।