
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানা গেছে। গতকাল ব্যাংকের ফাউন্ডেশন কমিটির বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। একই দিন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইসলামী ব্যাংকে একটি বিশেষ অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করেছে।
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২২ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যিনি আগে সোনালী ও রূপালী ব্যাংকে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাকে এই পদে বসানোর পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের সুপারিশ ছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
বিএফআইইউ’র অভিযানে ব্যাংক থেকে মাসুদের নেওয়া সুবিধাসহ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য তিনি ব্যাংক থেকে কোনো খরচ নিয়েছেন কিনা এবং তা কোন খাত থেকে ব্যয় হয়েছে।
ব্যাংকের একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, তিনি এক মাসের আমেরিকা সফরের বিষয়ে ব্যাংকের বোর্ডে কোনো লিখিত মেমো দেননি, কেবল মৌখিকভাবে অবহিত করে যান। তবে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী এমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠকে চেয়ারম্যানের অংশগ্রহণের সুযোগ সাধারণত থাকে না।
গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর তাকে ডেকে পাঠান এবং পদত্যাগের অনুরোধ করেন। তিনি পদত্যাগ না করে বিভিন্ন পরিসংখ্যান গণমাধ্যমে তুলে ধরেন এবং সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।
অন্যদিকে, ১০ জুলাই পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানের নাম আলোচনায় আসে। তবে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।