বিটিসিএলের ৫জি প্রকল্পে দুদকের সহায়তা চাওয়া দেশের স্বার্থেই: ফয়েজ তৈয়্যব

বিটিসিএলের ৫জি প্রকল্পে দুদকের সহায়তা চাওয়া দেশের স্বার্থেই: ফয়েজ তৈয়্যব

বিটিসিএলের ৫জি রেডিনেস প্রকল্পে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহায়তা চাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিস্বার্থ নয়, দেশের স্বার্থেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি থেমে গেলে সরকারের ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে।’’

সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘‘বিটিসিএলের ফাইবার নেটওয়ার্ক বাড়ানোর প্রকল্পটি আগের সরকারের আমলে দরপ্রক্রিয়ায় প্রভাবিত হয়ে শুরু হয়। ২৯০ কোটি টাকার এলসি ইতিমধ্যেই পরিশোধ হয়েছে। আমরা চাই এই প্রকল্পটি শেষ করে জনগণের উপকারে লাগুক এবং বিটিসিএল বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকুক।’’

তিনি জানান, বিটিসিএলের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হলেও ৫জি রেডিনেস প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।


টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন লাইসেন্স নীতিমালা নিয়ে অপপ্রচারের জবাবে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘‘কারো লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে না। বরং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সবাইকে নতুনভাবে লাইসেন্স নিতে হবে। পুরনো উদ্যোক্তারা অগ্রাধিকার পাবে এবং কারও বিদ্যমান লাইসেন্স থাকলে তারা আউটসোর্সিং হিসেবে কাজ করতে পারবে।’’


তিনি দাবি করেন, বিগত ১২ বছরে টেলিকম খাতে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আইওএফ নামে একটি চক্র প্রতি মিনিটের কল রেট গোপন রেখে আয় কম দেখিয়ে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসময় সালমান এফ রহমানের নাম উল্লেখ করে বলেন, এই পুরো প্রক্রিয়া তার নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *