
দেশের গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (এফএমডি) এবং লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নির্মূলে টিকাদান কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ঘাট দুগ্ধ কারখানার সম্মেলনকক্ষে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন,
“এই দুটি রোগ গবাদি পশুর জন্য মারাত্মক এবং বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সময়মতো সঠিক টিকাদান কর্মসূচি চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এলএসডি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে কেউ অভিযোগ করতে না পারে যে পশুর চামড়ায় ক্ষতি হয়েছে। এজন্য মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খামারিদের দোরগোড়ায় পৌঁছে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন,
“পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলকে এলএসডি ও এফএমডিমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করতে হলে আরও আন্তরিকতা ও পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—
- মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: হেমায়েত হোসেন
- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) বেগম শামসুন্নাহার আহমদ
- পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ. বি. এম. খালেদুজ্জামান
- এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন
- চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মোঃ গোলাম রব্বানী
- জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম আনোয়ারুল হক
সহ বিভিন্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা।
উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যৌথ উদ্যোগ এবং সচেতনতায় গবাদিপশুর এই মারাত্মক রোগগুলো শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।