সালাহউদ্দিন আহমেদের ‘অশিষ্ট’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ইসলামী আন্দোলন, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

সালাহউদ্দিন আহমেদের ‘অশিষ্ট’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ইসলামী আন্দোলন, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) নির্বাচনী পদ্ধতির বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ— এমনটাই দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের মতের পূর্ণ প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই পদ্ধতির দাবি তুলেছে। কিন্তু জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ যেভাবে এই দাবি নিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের পরিপন্থী।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপির অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এমনকি আওয়ামী আমলে গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় বিজয়ীও হয়েছে। ফলে বর্তমান সময়ে এসে পিআর দাবিকে ‘ভণ্ডামি’ বলা স্ববিরোধী ও বিভ্রান্তিকর।”

শেখ ফজলুল করীম মারুফ মন্তব্য করেন, “জনাব ইলিয়াস আলীর মতো সাহসী নেতারা যখন গুম হয়েছেন, তখন সালাহউদ্দিন আহমেদ ‘গুম’ হয়ে ভারতে আরাম-আয়েশে সময় কাটিয়েছেন। এখন এসে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আন্দোলনের সংহতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। বিএনপির উচিত তাঁর বক্তব্য নিয়ে সতর্ক অবস্থান নেওয়া।”

তিনি আরও দাবি করেন, “সাম্প্রতিক একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানালে তিনি তখন সরি বলে বক্তব্য প্রত্যাহার করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবারো একই ধরনের মন্তব্য করায় তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।”

বিবৃতির শেষাংশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গের দায় তাঁকেই নিতে হবে, এবং সেই দায় বিএনপির ওপরও বর্তাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *