
ঢাকা, ৩০ জুন ২০২৫ — সোমবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১৫ মিনিটের একটি গঠনমূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ টেলিফোন আলাপ করেন। এই আলাপচারিতায় দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জোরদারিতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
আলোচনার সময় তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক, চলমান সংস্কার কর্মসূচি, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহযোগিতা বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া ও আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য এবং রেমিটেন্সের একটি বড় উৎস। তিনি দুই দেশের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা দ্রুত শেষ করে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানান, তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্প্রতি ওয়াশিংটনে মার্কিন উপ-রাষ্ট্র সচিব জনাব লান্ডুর সঙ্গে সফল বৈঠক করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত করতে কাজ করছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯০ দিনের জন্য বাংলাদেশের শুল্ক স্থগিত করার সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং বাণিজ্য নিয়ে কার্যকর আলোচনা চালানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস আশ্বাস দেন, আগামী বছরের গোড়ার দিকে দেশজুড়ে নির্বাচন হবে এবং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান সংলাপ দেশের রাজনৈতিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং এবার অনেক তরুণ প্রথমবার ভোট দিতে পারবেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যায় অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য এখন আগের চেয়ে সম্ভাবনা বেশি এবং বাংলাদেশ এ বিষয়ে কাজ করছে।
দুই নেতা স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তা এবং বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা দেশের তরুণদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হবে।