
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার ইরান সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রবিবার ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ইসরায়েলের একাধিক কৌশলগত স্থাপনায় আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে রয়েছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, একটি বায়োলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, সামরিক লজিস্টিক ঘাঁটি এবং কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
ইরানি সংবাদ সংস্থা ফার্স-এর উদ্ধৃত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,
“অপারেশন সৎ প্রতিশ্রুতি ৩”-এর ২০তম তরঙ্গে ইরান ধ্বংসাত্মক ওয়ারহেডসহ দীর্ঘপাল্লার তরল ও কঠিন জ্বালানিভিত্তিক মিসাইলের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে,
“হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের বিমান চলাচল, গবেষণা এবং সামরিক সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করেছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি সুসংগঠিত এবং পূর্ব-পরিকল্পিত প্রতিশোধমূলক হামলা, যা ইরান তাদের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ বলেই বিবেচনা করছে। তেহরান আগেই হুঁশিয়ার করেছিল যে, মার্কিন বা ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে তারা নিরব থাকবে না।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) এখনো হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি, তবে দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলায় ইরানের ফোর্ডো, নাটানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান একের পর এক পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।