
আজ বিশ্ব সমুদ্র দিবস। প্রতি বছর ৮ই জুন এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের গুরুত্ব এবং এর সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালিত হয়। এবারের বিশ্ব সমুদ্র দিবসের মূল বার্তা হলো— সমুদ্রের প্রতি মানুষের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।
সমুদ্র পৃথিবীর বৃহত্তম বাস্তুতন্ত্র, যা বিশ্বের ৭০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। এটি জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, অক্সিজেন উৎপাদন, খাদ্য সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের জন্য সমুদ্রের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি দেশের অর্থনীতি, জীবিকা এবং পরিবেশের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের এক বিশাল আধার।
তবে, মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে সমুদ্র আজ হুমকির মুখে। অতিরিক্ত মাছ ধরা, প্লাস্টিক দূষণ, শিল্পবর্জ্য নিষ্কাশন, তেল ছড়িয়ে পড়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে এবং সমুদ্রের স্বাস্থ্য ক্রমেই খারাপ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সমুদ্রকে রক্ষা করতে হলে ব্যক্তি, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা – সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সমুদ্র দূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, এবং সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে টেকসই পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। এছাড়াও, সমুদ্র সংরক্ষণে গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা উচিত।
সমুদ্রকে রক্ষা করা কেবল পরিবেশগত দায়িত্ব নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ পৃথিবী নিশ্চিত করারও অঙ্গীকার।