আব্দুর রহমান সাদিপ, দেশীবার্তা, শাহরাস্তী, ০২জুন২০২৫।

শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, সেবা এবং নৈতিক চরিত্র গঠন” – এই মহৎ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০২১ সালের ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় মেহের যুব ফাউন্ডেশন।
প্রতিষ্ঠাতা কাউসার আহমেদ-এর নেতৃত্বে শাহরাস্তি উপজেলার একদল উদ্যমী তরুণ সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনটি শুরু থেকেই একের পর এক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করে চলেছে। এখন পর্যন্ত তারা ৮৪টি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে, যা এই অঞ্চলে একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
শিক্ষার প্রসার,সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তা,নৈতিক চরিত্র গঠনে, উদ্বুদ্ধকরণ,তরুণদের দক্ষ ও সমাজসেবামুখী করে গড়ে তোলা।
কার্যক্রম এলাকা: শাহরাস্তি পৌরসভা
নিয়মিত কার্যক্রমসমূহ: স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন,টিউবওয়েল স্থাপন,পরিচ্ছন্নতা অভিযান,বৃক্ষরোপণ ও গাছের পরিচর্যা,চিকিৎসা সহায়তা,আর্থিক সহায়তা,রাস্তাঘাট মেরামত,রমজানে ইফতার বিতরণ,দুর্যোগে বন্যা ত্রাণ,ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পেইন,দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা।
উল্লেখযোগ্য প্রকল্প: “স্বাবলম্বী প্রকল্প” – একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ, যার মাধ্যমে প্রায় ২০০টি পরিবারকে ক্ষুদ্র পুঁজি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
জনগণের মতামত: শাহরাস্তির সাধারণ মানুষ মনে করেন—এই তরুণদের উদ্যোগ অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক। তারা মনে করেন, এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কাজ সমাজকে এগিয়ে নিতে এবং অন্যদের সচেতন করতে বিরাট ভূমিকা রাখে। মেহের যুব ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যেই জনমনে আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ফাউন্ডেশনটি আগামী দিনে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তারা বিশ্বাস করে—যুবসমাজকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলেই সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আনা সম্ভব।
চ্যালেঞ্জ: সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা। তবুও এই সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে তারা এগিয়ে চলছে নিরন্তর প্রচেষ্টায়। বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে হলে প্রয়োজন সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষের সহযোগিতা।
যোগাযোগ:
ফেসবুক পেজ: মেহের যুব ফাউন্ডেশন
অবস্থান: শাহরাস্তি পৌরসভা
মোবাইল:01875-766190
মেহের যুব ফাউন্ডেশন একটি মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সংগঠন, যা ইতোমধ্যেই ৮৪টি সফল প্রকল্পের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে—তরুণদের সৎ ইচ্ছা, নেতৃত্ব ও জনসেবার মানসিকতা থাকলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তাদের এই অগ্রযাত্রায় আমরা সকলে পাশে দাঁড়াই, যেন ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, সহনশীল ও মানবিক সমাজ গড়ে ওঠে।