ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্ত দিয়ে অব্যাহতভাবে নারী, শিশু ও পুরুষসহ অসংখ্য মানুষকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার (সর্বশেষ) পাঁচটি ভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৯৩ জনকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে তারা।
গত ৪ মে থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৮৩৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ।
সর্বশেষ ঘটনায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে ১৪ জনকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালায় বিএসএফ। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় বিজিবি এই কার্যক্রম প্রতিহত করে। এতে করে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভারতীয় অংশ থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই সময় আকাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও বিএসএফ সাড়া দেয়নি। সীমান্তে বর্তমানে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, “ভারত আমাদের অনুরোধ সত্ত্বেও সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অবৈধভাবে মানুষ ঠেলে দিচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করেছি।”
এছাড়াও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী সীমান্ত, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়েও বেশ কয়েকজনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। বিজিবি এবং পুলিশ এসব ব্যক্তিদের আটক করে তদন্ত শুরু করেছে।
বেশিরভাগ ঠেলে দেওয়া মানুষ ভারতীয় বলে দাবি করেছেন। তারা জানান, তাদের ধরে ক্যাম্পে আটকে রাখার পর সীমান্তে এনে জোর করে পাঠানো হয়। কেউ কেউ বলেন, তারা দীর্ঘদিন ভারতে ইটভাটায় কাজ করতেন এবং তাদের সন্তানেরাও সেখানে জন্ম নিয়েছে।
বিজিবি ও পুলিশ আটক ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে। সীমান্তে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং বিজিবি উচ্চ সতর্কতায় রয়ে