আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘মারিভ’ জানিয়েছে, গাজায় প্রতি চার মিনিট পরপর একবার করে বোমা বর্ষণ করেছে তারা। এমন হামলার মাত্রা ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময়ের তুলনায়ও বেশি ছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় উত্তরাঞ্চলে একশর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের তথ্যমতে, ৯টি বসতবাড়ি ও তাবু লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়েছে, যাতে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকেই ধ্বংসস্তূপ থেকে মোবাইল ফোনে সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করছেন।
ইসরায়েল আগেই হুমকি দিয়েছিল, যদি হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তবে গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরপরই এই হামলা শুরু হয়।
গাজার বেঈত লাহিয়ার বাসিন্দা বাশির আল-গানধুর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের এলাকায় বোমা বর্ষণ শুরু হয়। যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া বোমায় তার বাড়ির আশপাশে ১১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে রয়েছে তার দুই ভাতিজি ও এক ভাতিজা। তার ভাইয়ের স্ত্রী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন।