মোঃ জামিয়ার রহমান ,জেলা প্রতিনিধী নীলফামারী।

শোডাউনটি সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় জলঢাকা ডাকবাংলো মাঠ থেকে। পরে বিশাল মোটরসাইকেল বহরটি শৌলমারী, গোলনা, মিরগঞ্জ, খুটামারা, কৈমারী, গাবরোল, কাঁঠালী, ধর্মপাল উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়ন ঘুরে আসে। সর্বত্র জনতার উল্লাস ও শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রাস্তা ও বাজারগুলো। এলাকাবাসী ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান জামায়াত প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের।
শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমির জনাব মোখলেছুর রহমান মাস্টার, উপজেলা নায়েবে আমির জনাব কামারুজ্জামান, উপজেলা সেক্রেটারি মোঃ মোয়াম্মার আল হাসান, সহকারী সেক্রেটারি মুজাহিদ মাসুম, পৌর আমির মাওলানা মোজাম্মেল হক, পৌর সেক্রেটারি ওপিয়ার রহমান, এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সারাফী শোডাউনের বিভিন্ন স্থানে থেমে জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন—
এই বিপুল জনসমাগম প্রমাণ করে, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আল্লাহর আইনভিত্তিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ জনগণের দোয়া ও সমর্থনে বিজয় আমাদের হবেই।”
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জলঢাকায় জামায়াত প্রার্থীর এই শোডাউন আসন্ন নির্বাচনের মাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এমন বিশাল কর্মী ও মোটরসাইকেল সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থনের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
এদিকে এলাকাজুড়ে আলোচিত এই মহাশোডাউন স্থানীয় ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই বলছেন, এত বড় পরিসরে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি।
দিনব্যাপী এই মহাশোডাউন শেষে সন্ধ্যায় জলঢাকা জামায়াত অফিস আল-ফাল্লার মাঠে সমবেত হন নেতাকর্মীরা। সবার মুখে তখন একটাই স্লোগান—
দাঁড়িপাল্লা জিন্দাবাদ, ইসলামী বাংলাদেশ কায়েম হোক!