দেশিবার্তা অনলাইন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম গতকাল মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি বিষয়ে এক বক্তব্য দেন। তবে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের দাবি, গণমাধ্যমে ওই বক্তব্যটি ভুলভাবে উদ্ধৃত হয়েছে।
সোমবার চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি ট্রাইব্যুনাল কাভার করা সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠান প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।
বিজ্ঞপ্তিটির শিরোনাম ছিল—‘গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত)-এর ধারা ২০ (সি) সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রসিকিউশনের বক্তব্য’।
চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানায়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তাদের নজরে এসেছে, যেখানে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইনের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এতে এমন ধারণা তৈরি হতে পারে যে আইনটি এখনো কার্যকর হয়নি, বা এর প্রয়োগ সেনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল—যা বাস্তব অবস্থা ও আইনের ভাষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

মোনাওয়ার হুসাইনের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩–এর প্রযোজ্যতা অন্য যেকোনো আইনের ওপর অগ্রাধিকার পাবে।
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর আগে অন্তর্বর্তী সরকার আইনটি সংশোধন করে। সংশোধিত আইনে বলা হয়, কারও বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হলে তিনি সরকারি চাকরিতে থাকতে পারবেন না।
গত ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর পর্যন্ত এই কর্মকর্তারা ঢাকা সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে ছিলেন। ২২ অক্টোবর তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং বর্তমানে তারা সেনানিবাসের একটি উপকারাগারে আটক আছেন।