
আসন্ন নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও আচরণ বিধিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়মে নির্বাচনের দিন ও প্রচারণার সময় ড্রোন বা এ ধরনের কোনো যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে, পোস্টারের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
এআই ও সাইবার বুলিংয়ের ওপর কঠোরতা
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বুধবার জানান, নতুন আচরণবিধি অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার চালালে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। প্রার্থীর সাইবার বুলিং বন্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থীর ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে, আর রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর তালিকা এবং লিংক রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে।
প্রচার সামগ্রী ও অন্যান্য পরিবর্তন
- বিলবোর্ড: একজন প্রার্থী একটি সংসদীয় আসনে সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন, যার আয়তন হবে ১৬ বর্গফুটের বেশি নয়। শুধু ডিজিটাল বিলবোর্ডে আলোর ব্যবহার করা যাবে।
- ভোটার স্লিপ: ভোটার স্লিপ বিতরণের প্রথাকে আইনগত ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। তবে স্লিপে প্রার্থীর নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।
- পরিবেশবান্ধব প্রচার: প্রচার সামগ্রীতে পলিথিন ও রেক্সিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে।
- শব্দ সীমা: প্রচারণার সময় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
- প্রচারণার সময়: প্রচারণার জন্য সময় থাকছে তিন সপ্তাহ।
- সরকারি সুবিধাভোগী: সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের তালিকায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছে, ফলে তারা প্রার্থীর হয়ে প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
- প্রার্থীতা বাতিল: আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের বিধান আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, গণমাধ্যমের সংলাপ এবং সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে, যাতে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীদের নিয়ে একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের ঘোষণাপত্র পাঠ করার ব্যবস্থা করতে পারেন।