
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে গ্রাহক অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আজ ২৮ জুলাই ২০২৫, সকাল ১১টায় একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
সভায় জানানো হয়, মোবাইল ফোন গ্রাহকরা নিয়মিত বিভিন্ন অভিযোগ দাখিল করছেন, তবে অপারেটরদের অনেকেই অভিযোগের শুনানিতে অনুপস্থিত থাকছেন এবং নিয়মিত সময় চাওয়ার কারণে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বিশদ তথ্য উপস্থাপন করেন।
সভায় গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক, বিটিআরসি এবং বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার পর ভোক্তাদের স্বার্থে নিচের সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়:
গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ:
১. ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগ নিষ্পত্তি: মোবাইল অপারেটররা দাখিলকৃত অভিযোগ যাচাই করে ৭ দিনের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিষ্পত্তি করবেন এবং প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যেসব অভিযোগে মতানৈক্য থাকবে, সেগুলো শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
২. টেকনিক্যাল চেকলিস্ট প্রস্তুত: অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল বিষয়াবলী নিয়ে একটি চেকলিস্ট তৈরি করে ৭ দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে।
৩. অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম সংযুক্তি বিষয়ে স্বচ্ছতা: পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে শর্তাবলী স্পষ্টভাবে গ্রাহকদের জানাতে হবে।
৪. অভিযোগের সময় কলচার্জ রিভিউ: কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রাহকের সীম থেকে কলচার্জ কাটা হয় কি না তা মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৫. পুনর্ব্যবহৃত সিমে স্পষ্ট চিহ্ন: পুনরায় বিক্রয়যোগ্য সীমগুলোতে ইংরেজিতে “Re-Used” ও বাংলায় “পূর্বে ব্যবহৃত” লিখে গ্রাহককে আগেই জানাতে হবে।
সভাটি পরিচালনায় ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল এবং উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আফরোজা রহমান।