ভারতে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার (১ জুন) একদিনেই করোনায় মারা গেছেন ৪ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পশ্চিমবঙ্গে
রবিবার সর্বোচ্চ ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে, যেখানে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩১ জনে। দেশের মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত রোগী রয়েছে কেরালায় — ১,৪৩৫ জন। এছাড়া দিল্লিতে মোট ৪৮৩ জন এবং মহারাষ্ট্রে ৫০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বর্তমান মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৩,৯৬১ জন
ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট
ভারতের চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিএমআরের মহাপরিচালক ড. রাজীব বাহেল জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী মূলত ওমিক্রনের দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট— NB.1.8.1 এবং NF.7। এই দুই ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম এবং বর্তমানে অধিকাংশ রোগী এই সাব-ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, “নমুনা বিশ্লেষণে মোট ৬টি সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে কমন NB.1.8.1 ও NF.7।”
সরকারের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ
ভারতের আয়ুষ মন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। করোনাকালীন গঠিত অবকাঠামো পুনরায় সক্রিয় করা হচ্ছে। আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর জন্য রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের যে প্রস্তুতি রয়েছে, তা দিয়ে করোনার যেকোনো ঢেউ সামাল দেওয়া সম্ভব।”